আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের বাদঘিস প্রদেশের কাদিস জেলায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নারী-শিশুসহ অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে সাত শতাধিক ঘরবাড়ি। ফলে আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে এ ভূমিকম্প হয়। এর মাত্রা ছিল ৫.৩। প্রথম ভূমিকম্পের দুই ঘণ্টার পর আবার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে প্রদেশটিতে।
বাদঘিস প্রদেশের মুখপাত্র বাজ মোহাম্মদ সারওয়ারি এএফপিকে জানান, বাড়ির ছাদ ধসে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ নারী ও চার শিশু রয়েছে।
‘ভূমিকম্পটি প্রদেশের মুকর জেলার বাসিন্দাদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে হতাহতের বিবরণ এখনও পাওয়া যায়নি’-যোগ করেন তিনি।
কাদিস জেলা খরায় আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে একটি। জেলাটি গত ২০ বছরে আন্তর্জাতিক সাহায্য থেকে সামান্যই উপকৃত হয়েছে৷ ভূমিকম্প দরিদ্র আফগানিস্তানে দুর্বলভাবে নির্মিত বাড়ি এবং ভবনগুলির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
গত শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতেও ভূমিকম্প হয়েছিল আফগানিস্তানে। দেশটির ফৈজাবাদ জেলায় ওই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ওই দিন রিখটার স্কেলে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
আফগানিস্তান ইতিমধ্যেই একটি মানবিক বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে। আগস্টে তালেবানের দখলে দেশটির আরও অবনতি হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলি আন্তর্জাতিক সাহায্য এবং বিদেশে রক্ষিত সম্পদ আটকে দিয়েছে।
আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। প্রায়শই ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয় দেশটি। বিশেষ করে ইউরেশিয়ান এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণিতে এ ভূমিকম্প হয়। এর আগে ২০১৫ সালে ৭.৫ মাত্রার এক ভূমিকম্পে দেশটিতে প্রায় ২৮০ জন লোক মারা গিয়েছিল।