বরগুনা আমতলী উপজেলার ৪ নং হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদ উজ্জামান মিন্টু মল্লিক এর বিরুদ্ধে নৌকায় ভোট দেওয়ায় অসহায় বৃদ্ধার সবজি ক্ষেত বিনষ্ট, ফলজ বৃক্ষ কর্তন ও বাড়ি ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার ১৬ জানুয়ারী সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলদিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কুলাইর চর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, গতকাল ১৫ জানুয়ারী বিকাল ৪টার দিকে চেয়ারম্যান মিন্টু মল্লিক এর নেতৃত্বে উক্ত এলাকার খোরশেদ মোল্লার দুই ছেলে বাবুল মোল্লা ও জুয়েল মোল্ল, মৃত্যু মমিন আলী মোল্লার দুই ছেলে খোরশেদ মোল্লা ও রত্তন মোল্লা, রত্তন মোল্লার ছেলে জাফর মোল্লা, মতি মোল্লার ছেলে জাহিদ মোল্লা সহ ৪০ থেকে ৫০জন লোক উক্ত এলাকার বাসিন্দা মৃত্যু এন্তে আলী মোল্লার ছেলে অসহায় বৃদ্ধ মোঃ সুনু মোল্লা (৭৫) এর সবজি ক্ষেত, অর্ধশতাধিক ফলজ বৃক্ষ কর্তন ও তার বসতঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে আসহায় বৃদ্ধা মোঃ সুনু মোল্লা (৭৫) সাংবাদিকদের জানান, আমি নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী মিন্টু মল্লিককে ভোট না দিয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ায়, গতকাল আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে নির্বাচনে বিজয়ী সতন্ত্র চেয়ারম্যান মিন্টু মল্লিক এর নেতৃত্বে উক্ত এলাকার খোরশেদ মোল্লার দুই ছেলে বাবুল মোল্লা ও জুয়েল মোল্লা, মৃত মমিন আলী মোল্লার দুই ছেলে খোরশেদ মোল্লা ও রতন মোল্লা, রতন মোল্লার ছেলে জাফর মোল্লা, মতি মোল্লার ছেলে জাহিদ মোল্লা সহ ৪০ থেকে ৫০ জন লোক আমার সবজি ক্ষেত, অর্ধশতাধিক ফলজ বৃক্ষ কর্তন ও বসতঘর ভেঙে নিয়ে গেছে, আমি এর বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক জন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে দলবল নিয়ে ঝুপড়ি ঘর ভেঙ্গে-চুড়ে অন্যর বাড়িতে রেখে যায় এবং সবজি ক্ষেত নষ্ট সহ অর্ধশতাধিক ফলজ বৃক্ষ কর্তন করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, ঘর ভাঙ্গার কোন ঘটনা ঘটেনি। জমি নিয়ে ভাই ভাইয়ের দ্বন্দ আছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।