নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের সব রকম প্রচারের সময় সীমা শেষ হয়েছে ক্যালেন্ডারে ১৫ জানুয়ারি শুরু হতেই। শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারসহ সব প্রার্থী দিনভর পথসভা, গণসংযোগ, গণমিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।
সকাল ১০টায় সাংবাদ সম্মেলন করে হয়রানিমূলক গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানান তৈমুর। বহিরাগতরা যেন নির্বাচনি এলাকায় না থাকতে পারে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপও চান তিনি।
অপরদিকে আইভী তার বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে পরাজিত করতে অনেকগুলো পক্ষ এক হয়েছে।
বিকালে নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায় পথসভা ও গণমিছিল করেন তিনি। আইভী বলেন, ১৮ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করে আসছি। ২০০৩ সালে যখন আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন করি, তখন অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের মানুষ অন্যায়-অত্যাচার, খুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নৌকায় ভোট দেবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বন্দরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কবিলার মোড়ে পথসভা করেন। তিনি বলেন, হাতি প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। ১৮ বছরের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে পরিবর্তন চায় নারায়ণগঞ্জবাসী।
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ নগরীর চাষাঢ়া শহীদ মিনার থেকে বেলা ১১টায় ও বিকালে গণমিছিল বের করেন।
২৭টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এরমধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ জন নারী ভোটার। ইভিএমের মাধ্যমে ১৯২টি কেন্দ্রের ১৩৩৩টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে ১৬ জানুয়ারি।