৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশের শেষের উইকেট ফেলতে পারছিলেন না কিউই বোলাররা। অবশেষে রস টেলরের হাতে বল তুলে দিলেন অধিনায়ক টম লাথাম। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচে বল হাতে এবাদতের উইকেটটি পেয়ে যান তিনি। আর তাতেই ইনিংস ব্যবধানে এলো জয়। বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংসে এবং ১১৭ রানের বড় ব্যবধানে। এ হারের ফলে ১-১ ব্যবধানে সিরিজটি ড্র হয়েছে।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দলকে ফলো-অনে ফেলে নিউজিল্যান্ড। ফলো-অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার সাদমান ও নাঈম। নিউ জিল্যান্ডের দুই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির প্রথম স্পেল কোনো বিপদ ছাড়াই ভালোভাবে কাটিয়ে দেন তারা।
কিন্তু ১৪তম ওভারে পেসার জেমিনসনের লেগ স্টাম্পের ওপরের বল। চাইলেই বলটা ছেড়ে দিতে পারতেন সাদমান ইসলাম। কিন্তু আলগা এক শট উইকেটের পেছনে টম ব্লান্ডেল দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে সাজঘরের পথ দেখালেন বাঁহাতি ওপেনারকে। আউট হওয়ার আগে করেন ২১ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগের ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। ৩৬ বল খেলেন করেন ২৯ রান। আর ৯৮ বল খেলে ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাউদির করা বলে লাথামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার নাঈম শেখ। আর কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। আগের ইনিংসের একমাত্র হাফ-সেঞ্চুরিয়ান ইয়াসির রাব্বি করেন মাত্র ২ রান।
এদিকে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস চালায় লিটন-সোহান। দুজন মিলে তুলেন অপ্রতিরোধ্য ১০১ রানের জুটি। এখন ৩৬ ফেরেন সোহান। এরপর ২ রানে আউট হন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিছুক্ষণ পরেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন কুমার দাস। শতরান পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকা এই টাইগার ব্যাটারের। আউট হয়েছেন ১০২ রানে। ১১৪ বলে খেলা ইনিংসটি ১৪টি চার এবং একটি ছয়ে সাজানো।
এছাড়া শূন্যরানে শরিফুল এবং ৪ রানে আউট হন এবাদত হোসেন। এদিকে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ ।