বরিশালের প্রবীণ সংস্কৃতিজন মুকুল দাসের আজ ৭৩ তম জন্মদিন। মুকুল দাসের জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নরওয়ে থেকে প্রকাশিত অনলাইন ভিত্তিক বাংলা সংবাদ মাধ্যম সাময়িকী ডটকম পরিবার। সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোডস্থ ঝাউতলায় মুকুল দাসের বাসভবনে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানায় সাময়িকী ডটকম। পর কেক কেটে মুকুর দাসের ৭৩ জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাময়িকী ডটকমের প্রধান সম্পাদক ভায়োলেট হালদার, বিশেষ প্রতিনিধি বাপ্পি মজুমদার, বরিশাল প্রতিনিধি রাসেল হোসেন।
নাট্যাভিনেতা, সুরকার, সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব, লেখক সহ একাধিক পরিচয়ের অধিকারী মুকুল দাস ১৯৪৯ সালের আজকের এই দিনে নগরীর দপ্তরখানা এলাকায় একটি সংস্কৃতিবান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা স্বর্গীয় মনিন্দ্র কুমার দাস মাতা স্বর্গীয়া সরযূ দাস। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মুকুল দাস সবার বড়। বরিশালের সংগীত ও সাহিত্য মজলিশে যে কজন ব্যক্তি আপন গুনে প্রতিভাসিত মুকুল দাস তাদের মধ্যে অন্যতম। বিশিষ্ট পরিবারে জন্ম মুকুল দাসের পরিবারটি সময় সাহিত্য-সঙ্গীত আড্ডায় বরিশালে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পেশাগত জীবনে মুকুল দাস একজন স্কুল শিক্ষক। অবসরে গেছেন তাও প্রায় ১২ বছর। কিন্তু শিক্ষক পরিচয় ছাপিয়ে মুকুল দাস আজ জন্য পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত। মুকুল দাসের ভাষায় বাড়িতে গ্রামোফোন থাকার সুবাদে গানের প্রতি অনুরক্ত হয়ে মাত্র ৯ বছর বয়সে মঞ্চে প্রথম একটি শ্যামা সংগীত পরিবেশন করে সংগীত ভুবনে স্থান করে নেয়। সঙ্গীত জীবনে হাতে খড়ি তার মায়ের কাছে। তারপর থেকে একটানা ৫৯ বছর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে একনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছেন। তার মধ্য দিয়েই পড়াশুনা শেষ করেছেন এবং চাকুরী করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় খেলাঘর, বরিশাল খেলাঘর, ঢাকার আরণ্যক নাট্যদল, বরিশাল নাটক, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ ও উদীচীর সাথে জড়িত ছিলেন। বরিশাল যুবসংঘের “বাসর থেকে আসরে” নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নাট্য জীবনে পদার্পণ ঘটে। বরিশালের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের অনেকেরই সস্নেহে ঘনিষ্ঠ হতে পেরেছিলেন। এছাড়া তিনি ঢাকা ও কলকাতার অনেক গুণী ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন। আজন্ম কৌতুক প্রিয় সর্বক্ষণ শিশুসুলভ আচরণের এই মানুষটি অনেক ঘটনার সাক্ষী। বহু গানের আসর মাতিয়ে মুকুল দাস আজও অমলিন হয়ে রয়েছেন।