নবম ধাপে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে আরও ৭০৫ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার উখিয়া থেকে ১৬টি বাসে করে এসব রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। আজ চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে জাহাজে করে তাদের নেওয়া হচ্ছে ভাসানচরে। ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পাঠানোর সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব রোহিঙ্গাকে সেখানে নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে ৪১৪ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে আটটি বাস উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে আসে। বিকাল পাঁচটার দিকে আরও আটটি বাস ২৯১ জনকে নিয়ে চট্টগ্রামের আসে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ৭০৫ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। সড়ক পথে চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর জাহাজযোগে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানান, এই ৭০৫ জনসহ এ পর্যন্ত নবম দফায় মোট ১৯ হাজার ৮৪৮ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচর নেওয়া হলো। এর আগে অষ্টম দফা পর্যন্ত ১৯ হাজার ১৪৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়।
এক লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা নেয় সরকার। এই উদ্দ্যেশে সরকার ভাসানচরে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত নানা ধরণের অবকাঠামো গড়ে তোলে।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত আট দফায় ১৯ হাজার ১৪৩ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। সর্বশেষ আজ নেওয়া হচ্ছে ৭০৫ রোহিঙ্গাকে।