তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি, কিন্তু ঠান্ডার অনুভূতি অনেক বেশি। কারণ সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য এখন কম। আগামী কয়েকদিন এ ধরনের তাপমাত্রাই থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বদলগাছিতে, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা গতকাল ছিল শ্রীমঙ্গলে, ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে, ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৩, সর্বোচ্চ ২৩; ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ২, সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৪; চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ৮, সর্বোচ্চ ২৭; সিলেটে সর্বনিম্ন ১৪, সর্বোচ্চ ২৭ দশমিক ৩; রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৫, সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৬; রংপুরে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২, সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৫; খুলনায় সর্বনিম্ন ১৪, সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৬ এবং বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৭ ও সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, আমরা আবহাওয়াবিদরা সাধারণত দুইটি তাপমাত্রার দিকে খেয়াল করি। একটি হচ্ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, আর অপরটি হচ্ছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিনশেষে বেলা ৩টা বা সন্ধ্যা ৬টায় যে তাপমাত্রা মাপা হয়, সেটি হচ্ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, আর সূর্য ডোবার পর থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত যে তাপমাত্রা থাকে তাকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধরা হয়।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, এখন সমুদ্র ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা বেশি। কিন্তু অপর এলাকা-বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, সিলেটে দিনের যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তা ওই অঞ্চলের তুলনায় কম। ওই অঞ্চলগুলোতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৩ ডিগ্রির মধ্যে আছে। আবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আছে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে সারাদিন ওই এলাকার মানুষকে একটা অল্প তাপমাত্রার মধ্যে অতিবাহিত করতে হচ্ছে। এ কারণে তাপমাত্রার তুলনায় মানুষের মধ্যে শীতটা অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ বা ১০ এর নিচে ছিল, কিন্তু এত ঠাণ্ডা অনুভূত হয়নি। কারণ সে সময় দিনে তাপমাত্রা অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি ছিল।