কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে পর্যটক নারীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম আশিকুল ইসলাম। রবিবার রাতে মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্স র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আশিকুর ইসলাম আশিক আত্মগোপনে ছিলেন। আজ রাতে তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ব্যাপারে ঘটনার বিস্তারিত সোমবার সকালে ব্রিফিং করে জানানো হবে।
এর আগে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুইজনের নাম মামলার এজাহারে রয়েছে।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া এক নারীকে অপহরণের পর একটি হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ২২ ডিসেম্বর, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঘটনার শিকার নারীকে ওই গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার করে র্যাব। পরে তিনি চারজনের নাম উল্লেখ করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় মামলা করেন। ওই নারী স্বামী এবং আট মাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে ওই নারী ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারীর বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, “ঘটনার দিন বিকেলে বিচে ওই ভদ্রমহিলার সঙ্গে ওদের অভিযুক্তদের ছোটখাটো একটা ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটে, তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ওরা পরিবারটিকে ফলো করা শুরু করে। এক পর্যায়ে কলাতলি পয়েন্ট এলাকা থেকে একটি অটোরিকশায় ওই নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে আসে একটি স্থানীয় গেস্ট হাউজে। এরপর তাকে অনেক রাত পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।