নাটোরে বিএডিসি (সেচ ভবন) নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভান্ডার রক্ষক এর বিরুদ্ধে অনুমদন বিহীন ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। কানাইখালী বিএডিসি গোডাউনের মূল ফটকের উত্তর পাশের প্রায় ৪০ বছরের পুরাতন গাছ অনুমোদনহীন কর্তনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‘বিএডিসি গোডাউনের মূল ফটকের উত্তর পাশে দুইখানি মেহগনি গাছ ছিল। যার আনুমানিক বয়স প্রায় ৪০বছর। অতি সম্প্রতি এলাকাবাসী একটি গাছ দেখিতে না পাইয়া সন্দেহের উদ্রেক হইলে-
এলাকাবাসী অনুসন্ধান করিয়া গাছ কাটা শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারে উক্ত দুইখানা গাছের মধ্যে একখানা গাছ কাটা হইয়াছে। নাটোর জেলা বিএডিসি সেচ ভবন এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভান্ডার রক্ষক মো. আব্দুস সামাদ এর যোগসাজশে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের-
অনুমতি না লইয়া, দুর্নীতির আশ্রয় লইয়া বেআইনিভাবে উক্ত মেহগনি গাছ কাটিয়া লইয়াছে।’ ৬ জন এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রের অনুলিপি দেওয়া হয়, ঢাকা ক্ষুদ্র সেচ বিএডিসি ভবনের পরিচালক, সেচ ভবনের প্রধান প্রকৌশলী, নাটোরের জেলা প্রশাসক, পাবনা নুরপুরের বিএডিসি প্রকল্প পরিচালক ও নাটোর প্রেসক্লাবকে।
সরজমিনে কানাইখালী বিএডিসি গোডাউনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে গেটের উত্তর পাশে দণ্ডায়মান রয়েছে একটি মেহগনি গাছ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগেও এইখানে দুইটা মেহগনি গাছ ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, সরকারী কর্মকর্তা হওয়ায় তারা প্রভাবশালী। বিভিন্ন সময়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বিএডিসি ভবনের পুরাতন গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে বিএডিসি ভবনের ভান্ডার রক্ষক আব্দুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ অভিযোগ সত্য নয়।
এ বিষয়ে বিএডিসি ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমার জানা মতে এখানে কোন গাছ ছিল না। অনুমোদনবিহীন কোন গাছ কর্তন করা হয় নাই। অভিযোগের ভিত্তি নেই, বানোয়াট মিথ্যা ও অসত্য।