ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৭ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বরগুনার এমপি শওকত হাসানুর রহমান রিমন মৃতদেহগুলি বুঝে নেন। এর মধ্যে ১০ জনের মৃতদেহ গত শুক্রবার রাতে স্বজনরা নিয়ে যান। বাকি ২৭ জনকে শনিবার সকালে জানাজা শেষে পোটকাখালী গণকবরে দাফন করা হয়।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে এ জানাজা সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।
স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া আজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ এ উন্নীত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ও নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঢাকা যাওয়ার পথে অগ্নিদ্বগ্ধ এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছিল ৮১ জন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় ১৯ জনকে এবং ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৬ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী। তাদের মধ্যে অর্থপেডিকে ভর্তি অছেন ৫ জন, আইসিউতে পাঠানো হয়েছে ৩ জন এবং ৫জন শিশুসহ র্সাজারিতে মোট ভর্তি আছেন ৩৮ জন।