ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের সময় নদীতে ঝাঁপিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ। তিনি লঞ্চটির ভিআইপি কেবিন “নীলগিরি”র যাত্রী ছিলেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চ থেকে লাফিয়ে বাঁচার সময় তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে গেছে। বর্তমানে তারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইউএনও মোহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, ঢাকা থেকে অফিশিয়াল কাজ শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চে বরগুনার উদ্দেশে যাত্রা করেন। রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অন্য যাত্রীদের চিৎকারে তার ঘুম ভাঙে। তখন লঞ্চ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ থেকে তারা লাফ দিলে তৃতীয় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যান। তখন তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, লঞ্চে থাকা বৃদ্ধ এবং শিশুরাই বেশি হতাহত হয়েছেন। এছাড়া লঞ্চে অনেক নারী ছিলেন যারা নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন, কিন্তু তীরে উঠতে পেরেছেন কি-না এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এ সময় অনেক যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণ বাঁচাতে বেশ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেন। লঞ্চের এমন কোনো অংশ নেই যেখানে আগুন তার তাণ্ডব দেখায়নি। পুরো লঞ্চই পুড়ে ছাই। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।