স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব ও ক্রীড়া, মৎস্য ও কৃষির মতো ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। মালদ্বীপের সঙ্গে দুটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদেশের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার ও বন্দি বিনিময় চুক্তি এবং দুটি সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞান (নবায়ন) এবং দুদেশের যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নে সহযোগিতা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ চুক্তিও নবায়ন করা হয়।
চুক্তি সইয়ের পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সংযোগ উন্নয়নের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সোলিহের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেছি। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, আমরা এখনও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মালদ্বীপে অনেক মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। আমি দুই দেশের মধ্যে একটি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি ও বিনিয়োগের পারস্পরিক সুবিধার জন্য দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর পুনরায় জোর দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সন্তোষের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে বাংলাদেশি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ বেড়েছে। আমাদের জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও ঢাকা-মালে রুটে ফ্লাইট চালু করার কথা ভাবছে। আমরা আশা করি, সরাসরি ফ্লাইটের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও পর্যটন সহযোগিতার আদান-প্রদান বাড়বে। আমরা সরাসরি শিপিং লাইন স্থাপনের সম্ভাবনাও পর্যালোচনা করেছি।
২০২১ সাল বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য একটি যুগান্তকারী বছর ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি এ বছরের মার্চ মাসে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট সোলিহের উপস্থিতিতে। মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট নভেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেন, যার পর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। এর আগে ফেব্রুয়ারিতেও আমরা ঢাকায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর সুযোগ পেয়েছি এবং আজ আমি মালদ্বীপ সফর করছি।’