মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী পরীমনির দেওয়া নারাজির আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া চার্জশিট আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন এই আদেশ দেন। মামলার আসামি শহিদুল আলম পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ৩ মার্চ পরবর্তী শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেন। আজকে শুনানির সময় আদালতে হাজির হননি অভিনেত্রী পরীমনি।
সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১৪ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। সেদিনই দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
৬ সেপ্টেম্বর মামলার নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহিদুল আলমকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।
পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ আসামিদের নাম না আসায় ১ ডিসেম্বর নারাজি (অভিযোগপত্র মানি না) দাখিল করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে নারাজির আবেদনটি করেন তিনি। শুনানির পর ১৩ ডিসেম্বর আদেশের দিন ঠিক করেন বিচারক।