ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের যাত্রীবাহী বিলাসবহুল এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে লঞ্চটির নিচতলায় পেছনের দিকে স্টাফ (গ্রিজার/লস্কর) কেবিন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নৌ-পুলিশের বরিশাল অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা তরুণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
লঞ্চ টার্মিনাল ও লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
কুয়াকাটা-২ লঞ্চের স্টাফ সোহাগ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুজন তরুণ-তরুণী এক হাজার ৮০০ টাকায় স্টাফ কেবিন ভাড়া নেন। তরুণীর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর আর তার সঙ্গীর বয়স ৩৫ বছর হবে। লঞ্চটি ছাড়ার সময়ও তারা একসঙ্গে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে একজন লস্কর তাদের টিকিট দিতে কেবিনে গেলে তাদের স্বাভাবিক অবস্থাতেই দেখতে পান।
সোহাগ বলেন, শুক্রবার সকালে লঞ্চ বরিশাল ঘাটে ভিড়ে। সব যাত্রী নেমে গেলেও ওই কেবিনের যাত্রী বের না হওয়ায় আমরা গিয়ে দেখি কেবিনের দরজা তালাবদ্ধ। ভেতর থেকে কারও সাড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তালা দেখে বুঝেছি হয়তো তারা চলে গেছেন।
‘কিন্তু সন্দেহ হলে অন্য একটি চাবি দিয়ে তালাটি খুলে দেখি তরুণীর লাশ কেবিনের খাটে পড়ে আছে। বিষয়টি সবাইকে জানালে নৌ-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে লাশ উদ্ধার করে। আমার মনে হয়, রাত ৩টার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছে পুরুষটি।’ বলেন সোহাগ।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে জানা গেছে তরুণীর নাম শারমিন আক্তার। তিনি ঢাকার কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. এনায়েত ফকির ও মা নুরুন নাহার।