তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেন। রাতেই এ বিষয়ে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নানা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সোমবার মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ই-মেইলে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে পাঠান। পরে তার জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে তার একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাসেম পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন।
পরে সেটি সারসংক্ষেপ আকারে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর সেটি যায় বঙ্গভবনে।
সম্প্রতি নানা বেফাঁস মন্তব্যের কারণে আলোচনায় ছিলেন মুরাদ হাসান। এর মধ্যেই একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল ফোনালাপের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে মুরাদকে পদত্যাগের জন্য নির্দেশ দেন।
এদিন মঙ্গলবার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকেও মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় তাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার সংসদ সদস্য পদও থাকবে না বলে সূত্রে জানা গেছে।