তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার দুপুরে ই-মেইলের মাধ্যমে নিজ দপ্তরে স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্রটি পাঠান। নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। পরে সেটি যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। তিনি গ্রহণ করলেই তা কার্যকর হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর থেকেই ডা. মুরাদ পদত্যাগের জন্য প্রস্তুতি নেন। সংবিধান অনুযায়ী বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্যও প্রস্তুতি নেয় মন্ত্রণালয়। ডা. মুরাদ বর্তমানে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন বলেও জানা গেছে।
সম্প্রতি একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে তার ফোনালাপে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল আলাপের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এনিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। একজন প্রতিমন্ত্রীর মুখে এ ধরনের ভাষায় বিব্রত হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পরে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে তিনি সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে মুরাদকে পদত্যাগের জন্য নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। প্রথমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাকে। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন সূত্রে জানা যায়, তার কিছু পদক্ষেপ এবং কথাবার্তায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও বিব্রত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেন। এখানে এসেও বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন ডা. মুরাদ।