কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেলসহ দুইজনকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তার নাম শাহ আলম। বন্দুকযুদ্ধে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে কুমিল্লা সদরের চাঁনপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তিনি।
২৮ বছর বয়সী শাহ আলম ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জানু মিয়া। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস জানান, চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন দুস্কৃতিকারীর অবস্থান নেওয়ার খবর পেয়ে থানা ও ডিবি পুলিশ একাধিক অভিযান শুরু করে। রাত সোয়া একটার দিকে পুলিশকে দেখতে পেয়ে গুলি ছুড়তে থাকে দুস্কৃতিকারীরা। আত্মরক্ষার্থে ডিবি ও থানা পুলিশের সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একজনকে অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয়রা তাকে শাহআলম বলে শনাক্ত করে। গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিমল দাস আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গত ২২ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেলসহ দুইজন। সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর গত সোমবার রাতে মামলার দুই আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়া ছেলে মো. সাব্বির রহমান ও সংরাইশ এলাকার কাঁকন মিয়ার ছেলে সাজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এর দুই দিন পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম।