করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। যদিও এখন বলা হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকারও আগে নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত হয়েছিল ভাইরাসটি। তবে শুরুটা যে দেশ থেকেই হোক, আতঙ্ক সৃষ্টি করা ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়া দেশের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ১৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েও ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না ভাইরাসটির সংক্রমণ।
সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত বতসোয়ানায় ১৯ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৬ জন, পর্তুগালে ৭৭ জন, অস্ট্রিয়ায় ১ জন, বেলজিয়ামে ১ জন, কানাডায় ৩ জন, চেক প্রজাতন্ত্রে ১ জন, ডেনমার্কে ২ জন, ফ্রান্সে (রিইউনিয়ন আইল্যান্ড) ১ জন, জার্মানিতে ৪ জন, হংকংয়ে ৩ জন, ইসরায়েলে ২ জন, ইতালিতে ৪ জন, জাপানে ১ জন, নেদারল্যান্ডসে ১৪ জন, স্পেনে ১ জন, সুইডেনে ১ জন, যুক্তরাজ্যে ১৪ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।
ওমিক্রনের সূতিকাগার সাউথ আফ্রিকায় শনাক্তের সংখ্যা শয়ের কোটা ছাড়ায়নি বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেও দুজনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও গত সপ্তাহে ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ বলে অভিহিত করে। করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলো থেকে ওমিক্রন আরও সংক্রামক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে অনেক দেশ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করেছে। ওমিক্রন ঠেকাতে দেশে দেশে জোর প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশেও সরকার ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার এক চিকিৎসক রবিবার জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত ওমিক্রনের লক্ষণগুলো মৃদু এবং হয়তো বাসায় থেকেই এর চিকিৎসা করা যাবে।