দক্ষিণ আফ্রিকায় সদ্য শনাক্ত করোনাভাইরাসের ‘উদ্বেগজনক’ ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্ত নিরাপদ রেখে ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর অন্তত ৪৪টি দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশও দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেছে। তবে সম্প্রতি আফ্রিকা থেকে দেশে আসা ২৪০ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় মন্ত্রী ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়া দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে এলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক বলেও জানান।
ওমিক্রন ডেল্টা ধরনের চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনটির সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সতর্ক অবস্থানে আছে। তবে দুঃখের বিষয় গত এক মাসে আফ্রিকা থেকে ২৪০ জন এসেছেন। এখন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের ফোন নাম্বারও বন্ধ।’
আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘যদি কেউ আসে তাহলে অবশ্যই ১৪ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টাইন মানতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলবো, বিদেশ থেকে যারাই আসবে, তাদের যেন মনিটরিং করা হয়।’
এসময় মন্ত্রী জানান, সীমান্তে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করতে সব জেলায় চিঠি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশে যাতে নতুন করে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে তার জন্য সব ধরনের সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠান সীমিত করার বিষয়ে তাগিদ দেন তিনি।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ১৮টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। সেখানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বের নাগরিকদের বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত ছয় কোটি লোককে সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। চার কোটি লোক ডাবল ডোজ টিকা পেয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’