বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী মো. মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয় (১৯) নিহতের ঘটনায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তার সহপাঠীরা। এতে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল কলেজের একদল শিক্ষার্থী রামপুরা ব্রিজে এসে অবস্থান নেয়। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ক্যামব্রিয়ান কলেজ ও বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলছিল।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। নিরাপদ সড়কের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানান স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরার ডিআইটি রোডে সোনালী ব্যাংকের সামনে অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয় নামের ওই শিক্ষার্থী মারা যান। মাইনুদ্দিন স্থানীয় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তার বাবার নাম মো. আব্দুর রহমান। পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন মাইনুদ্দিন। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
এই ঘটনায় রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা নয়টি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাসের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নটরডেম কলেজ শিক্ষার্থী নাঈম হাসান মারা যান রাজধানীর গুলিস্তানে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে নয় দফা ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন করছে। এছাড়া বাসে হাফ পাসের দাবিতে গত ১৫ দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই ঘটল রামপুরার এই দুর্ঘটনা। এতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নতুন মোড় নিয়েছে।