মঞ্চের সামনে শুরু থেকে হাস্যোজ্বল লিওনেল মেসি। এমবাপ্পে ও সুয়ারেজের সঙ্গে খুনসুটি করছিলেন। হয়তো নির্ভার থেকেই ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। প্যারিসের থিয়েখ দু শাতেলে জমকালো অনুষ্ঠানে শেষভাগে এসে ব্যালন ডি’ অর ট্রফি জয়ীর নাম ঘোষণা করা হলো। যা ধারণা করা হয়েছিল সেটাই হয়েছে। লিওনেল মেসির হাতেই উঠেছে সপ্তমবারের মতো এই ট্রফি! ফ্রান্স ম্যাগাজিনের জরিপে ২০১২ সালে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এ তারকা।
সাংবাদিকদের ভোটে মেসি পিছনে ফেলেছেন রবার্ত লেভানদস্কি, কিলিয়ান এমবাপ্পে,করিম বেনজেমা,ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো কিংবা জর্জিনহোর মতো তারকাকে। আর রোনালদোর সঙ্গে তার ব্যবধান আরও বাড়লো। পর্তুগাল তারকা জিতেছেন ৫ বার।
মেসি বার্সেলোনার অনেক ট্রফি জিতলেও আর্জেন্টিনার হয়ে সাফল্য পাওয়া হয়নি। এবার বার্সেলোনার হয়ে কোপা দেল রের ট্রফি জিতেছেন। ৩০ গোল করে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো পিচিচি ট্রফিও তার করায়ত্তে। এছাড়া কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতায় ব্রাজিলকে হারিয়ে ট্রফিও উঠেছে তার হাতে। তাই ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে এই তারকাই সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন।
মেসি আগের ছয়বার জিতেছেন ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে। বর্তমানে প্যারিস সেন্ত জার্মেইতে খেললেও আগের সব ট্রফি বার্সেলোনা থাকার সময় পেয়েছেন।
এবারের ব্যালন ডি’অরের আলোচনায় নেই রোনালদো। জাতীয় দল কিংবা ক্লাব ফুটবলে সময়টা খুব একটা ভালো যায়নি তার। নেইমারও খুব একটা আলোচনায় নেই। পোলিশ তারকা লেভানদভস্কি ও ইতালিকে ইউরো জেতানো জর্জিনহো ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তবে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে গত মৌসুমের শুরু থেকে ৬০ ম্যাচে ৭৩ গোল করা লেভানদভস্কি পেয়েছেন প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত সেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কারটি। দ্বিতীয় হয়েছেন পোলিশ তারকাই। তৃতীয় চেলসির ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনহো। চতুর্থ ও পঞ্চম ফ্রান্সের দুই তারকা করিম বেনজেমা ও এনগোলা কন্তে।
স্পেন ও বার্সেলোর মিডফিল্ডার পেদ্রি হয়েছেন সেরা তরুণ খেলোয়াড়। ইতালির গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পেয়েছেন।