পঞ্চম দিনে গড়ালো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার চট্টগ্রাম টেস্ট। যেখানে সহজ জয়ই দেখতে পাচ্ছে পাকিস্তান। স্বাগতিকদের হারাতে পাকিস্তানের চাই আর ৯৩ রান, হাতে রয়েছে পুরো দশ উইকেট। মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিন ম্যাচ জিততে হলে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হবে বাংলাদেশকে।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ দল অলআউট হয়েছে মাত্র ১৫৭ রানে। মাত্র ৪ রানে পড়েছে শেষের ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসের ৪৪ লিডসহ পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২০২ রানের। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০৯ রান।
বাংলাদেশের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও স্বাগতিক বোলারদের কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক। মাত্র ৩৩ ওভারেই ১০৯ রান করে ফেলেছে এই জুটি।
প্রথম ইনিংসে তাদের জুটির সংগ্রহ ছিল ১৪৬ রান। অভিষিক্ত শফিক আউট হন ৫২ রান করে। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান পেরিয়ে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন তারা। এরই মধ্যে ফিফটি তুলে নিয়েছেন আবিদ-শফিক দুজনই।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলি দিনের খেলা শেষে অপরাজিত রয়েছেন ১০৫ বলে ৫৬ রান করে। অন্যদিকে ৯৫ বল থেকে ৫৩ রান করেছেন আরেক ওপেনার শফিক। এ দুজনের জুটিতে সহজ জয়ের পথেই রয়েছে পাকিস্তান।
এর আগে আজ (সোমবার) চতুর্থ দিনের শুরুতে বেশ ভালোভাবেই এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। যদিও দিনের প্রথম ওভারেই আউট হন মুশফিকুর রহিম। তবে এরপর জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ইয়াসির আলি রাব্বি ও লিটন দাস।
কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির বাউন্সারে কনকাসন হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইয়াসির রাব্বিকে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। ইয়াসিরের জায়গায় কনকাসন সাব হয়ে আসেন নুরুল হাসান সোহান। তিনি জুটি গড়ার ইঙ্গিত দিলেও আউট হয়ে যান ১৫ রান করে।
ফলে প্রায় একা বনে যান লিটন। তবু দলকে দেড়শ পার করানোর মূল কৃতিত্ব এ উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এই ইনিংসেও তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮৯ বলে ৫৯ রান। লিটন আউট হওয়ার পর আর এক রানও যোগ হয়নি স্কোরবোর্ডে।
পাকিস্তানের পক্ষে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। এছাড়া সাজিদ খান তিনটি ও হাসান আলির শিকার দুই উইকেট।