মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বাংলাদেশের বিমান, সমুদ্র ও স্থলবন্দরসহ সব প্রবেশপথে সতর্কবার্তা জারি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে মারাত্মক ধরনের এই ভাইরাসটি থেকে রক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এসব কথা জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া এই ভ্যারিয়েন্টকে ইতিমধ্যে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরাও পোর্ট অব এন্ট্রিগুলোয় সতর্কবার্তা দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলছি। আমাদের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে পাওয়া তথ্যগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে করে দেখছেন। তারা সভা করছেন। সেই সভা থেকে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে যেসব কাজ করা দরকার তার নিতে যাচ্ছি।’
গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যার নাম দিয়েছে ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বতসোয়ানা, ইসরায়েল, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালিতেও নতুন এই ধরনের সন্ধান মিলেছে। ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন এই ধরন নিয়ে বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে ডা. নাজমুল বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই। যেকোনো সময়েই সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তাই সংক্রমণ মোকাবিলায় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। নাক মুখ ঢেকে সঠিক নিয়মে মাস্ক পরতে হবে এবং নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড বা তার চেয়ে বেশি সময় হাত ধুতে হবে।’