নাটোরে নারদ নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পুনরায় শুরু হতে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের পক্ষ থেকে নদীর দখল ও দুষণ রোধে স্মারকলিপি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন নাটোর জেলা শাখার পক্ষ থেকে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে নদীর অবৈধ দখল ও দুষণ রোধে ১৭ দফার বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
১৭ দফার মধ্যে নদীর সীমানা রক্ষায় স্থায়ী সার্ভে কমিটি গঠন, শিল্পকারখানায় ২৪ ঘন্টা ইটিপি চালু রাখা, অপরিকল্পিত সকল বাঁধ, ব্রীজ, কালভার্ট, সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ, নদী ভাঙন রোধে হিজল, তমাল, গাব, বটসহ জলজ ও শ্বাসমূলীয় বৃক্ষ রোপন, নদীতে জলজ প্রাণি ও মৎস্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলা উল্লেখযোগ্য।
স্মারকলিপি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারনে নদীর অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত ছিল। পুনরায় এই কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হলে ২৯ নভেম্বর থেকে শহরের নারদ নদীতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
পর্যায়ক্রমে জেলার অন্যান্য নদীতেও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।উচ্ছেদ কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্যে প্রয়োজনে খাস জমি বন্দোবস্তো প্রদান করা হবে। উচ্ছেদ কার্যক্রমকে স্থায়ী রুপ দিতে নদীর ধারে সীমানা পিলার স্থাপন এবং শহরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাদিম সারওয়ার, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন নাটোর জেলা শাখার সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাকিম।