বাগেরহাটের রামপালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যর জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী সন্তোষ কুমার মল্লিক ওই দুর্দান্ত, আইন অমান্যকারী ও দাঙ্গাবাজ রেক্সনা বেগম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের হাত থেকে বাঁচতে আতংকে আছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তফশিল বর্ণিত সম্পত্তি সন্তোষ কুমার মল্লিক রাপলাম থানার অন্তর্গত ৩০ নং হুড়কা মৌজার সি,এস ২৪৮ নং খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক আশু মন্ডল ও নরেন মন্ডল ২.১৫ একর সম্পত্তি রামলাল বরাবর হস্তান্তর করেন। রামলাল ওই সম্পত্তি এস,এ ৩৫৪ নং খতিয়ানের ১০৮ নং দাগের ১.৫০ একর সম্পত্তি রেকর্ড প্রাপ্ত হইয়া ভোগদখল থাকা অবস্থায় সন্তোষ মল্লিকের কাছে বিক্রয় করেন। স্বত্ববান ভোগদখল থাকাকালে সন্তোষ মল্লিক নিজ নামে নামপত্তন করে কর – খাজনা দিয়া দীর্ঘকাল যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। দাবীকৃত ওই জমির প্রতিপক্ষ রেক্সনা বেগম শক্তিধর ও দাঙ্গাবাজ হওয়ায় তফশিল বর্ণিত ওই সম্পত্তি সময়কালে কয়েকগুণ মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লালসারূপে বিভিন্ন সময় সন্তোষ মল্লিককের সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখল করার পায়তারা করে। প্রাপ্ত সম্পত্তির মালিক সন্তোষ মল্লিক তার সম্পত্তিতে গাছ- পালা ও আইল সীমানা বেড়া দিতে গেলে প্রতিপক্ষ রেক্সনা বেগম পূর্বপরিকল্পিতভাবে দাও, লাঠি, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে সন্তোষ মল্লিককে বাধা দেয় ও তাকে খুন করে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় রেক্সনা বেগম। বাকবিতণ্ডায় পরিস্থিতি বিপর্যয় অবস্থায় দ্রুত রেক্সনার হাত থেকে সন্তোষ মল্লিককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান স্থানীয়রা। জীবনের নিরাপত্তা ও প্রাপ্তি সম্পত্তিতে যাহাতে প্রবেশ করে রেক্সনা দখল নিতে না পারে সে জন্য প্রথম পক্ষ সন্তোষ মল্লিক বাদী হয়ে বাগেরহাট বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে একটি নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করেন, যার নং ০৫/২০১৬ তারিখ ৩০.১০.২০১৬ । মামলা করার পর ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল নেওয়া থেকে কিছুদিন বিরত থাকলেও গত ১৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রামপাল থানার বেলাই গ্রামের রেক্সনা বেগম ও তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে প্রথম পক্ষ সন্তোষ মল্লিককের ওই জমি আবারো জোরপূর্বক দখল নেওয়ার পায়তারা করে। সরেজমিনে দেখা গেছে গত ২৪ নভেম্বর ওই নালিশী সম্পত্তিতে রেক্সনা বেগম দিনমুজুরি দিয়ে কাজ করছেন। নালিশী সম্পত্তিতে আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত কেনো কাজ করছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা আমি কেটে আসছি তাই কাজ করছি। আর এই সম্পত্তি আমার বরং সন্তোষ আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যথাযথভাবে আমরা বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ দ্বিতীয় পক্ষকে পাঠিয়েছি এবং কাজ করতে নিষেধও করেছি। তারপরও যদি কেউ আদালতের নিয়ম ভঙ্গ করে কাজ করে থাকে তাহলে বিজ্ঞ আদালতে বিষয়টি অবহিত করবেন এবং আদালত সে বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।