বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারি করোনাভাইরাস আবার নতুন করে ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত উভয়টি বেড়েছে। এই সময়ে করোনায় প্রাণ কেড়েছে সাত হাজার ৭২৯ জনের। এতে প্রায় দুই বছরে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৩০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ছয় লাখ ২৪ হাজার ৩৫৬ জনের শরীরে। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮১ হাজার ২০ জনে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বব্যাপী করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ দুই হাজার ৭৬৭ জন এবং মারা গেছে এক হাজার ৫৫৮ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত চার কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং সাত লাখ ৯৮ হাজার ২০৭ জন মারা গেছে।
গত এক দিনে প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এই সময়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এক হাজার ২৪০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৫৮ জন।
যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৭৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪৯ জন। জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩২১ জন। ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩২৫ জন এবং মারা গেছেন ৫৯৫ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন চার হাজার ৬৮৬ জন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ রয়েছে যুক্তরাজ্য, পঞ্চম রাশিয়া। এই তালিকায় তুরস্ক ষষ্ঠ, ফ্রান্স সপ্তম, ইরান অষ্টম, জার্মানি নবম এবং আর্জেন্টিনা দশম অবস্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশে অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৩১তম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। কোনো কোনো দেশে প্রকোপ কমে এলেও অনেক দেশে এখনও ভয়ংকর আকারেই থাবা বিস্তার করে রেখে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি।