বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের রামপালে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা কনফারেন্স রুমে পঞ্চাশতম বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেন। প্রস্তুতিমূলক সভায় অন্যান্যর মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসনেয়ারা মিলি, রামপাল থানার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামসুদ্দীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আব্দুর রউফ, জেলা ডেপুটি কমান্ডার শেখ আব্দুল জলিল, রামপাল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুর রহমান, প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোঃ গোলজার হোসেন, পিআইও মতিউর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মন্ডল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক, শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউর রহমান, নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া হোসেন, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরান হেসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী প্রমূখ।
সভায় আগামী ১৬ ডিসেম্বরের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সভায় কমিটি গঠন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, শত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে আলোচনাসভা, নাট্য উৎসব ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ক্রীকেট খেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরর সময় সূচি নির্ধারণ করা হয়। প্রত্যেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজয় দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন বলেন, যার জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হতো না তিনি হলেন আমাদের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ আমরা পঞ্চাশতম মহান বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছি, এটা আমাদের জন্য একটি গর্বের বিষয়। স্বস্ব প্রতিষ্ঠানে যথাযথ মর্যাদায় পতাকা উত্তোলন ও তার সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে আপনাদের সবার সার্বিক সহায়তা পেলে রামপালে দৃষ্টিনন্দন মহান বিজয় দিবস পালন করতে পারবো বলেও আশা ব্যাক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেন।