আবারো বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের তাণ্ডব, ৩ জেলে অপহরণ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

দস্যুমুক্ত ঘোষণার ৪ বছর পর সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে আবারো জলদস্যুদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বাগেরহাটের শরণখোলার তিনটি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। একই সঙ্গে তিন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা।

ডাকাতির শিকার ফিশিং ট্রলারগুলো হলো- শরণখোলার এফবি আটভাই ফিশ, এফবি শাওন এবং বরগুনার পাথরঘাটার এফবি মায়ের দোয়া। দস্যুরা এসব ট্রলার থেকে ইলিশ মাছ ও ডিজেলসহ লুটে নিয়েছে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার মালামাল।

অপহৃত জেলেরা হলেন, মো. লোকমান হোসেন (৬০), মো. জাকির হোসেন (৫০) ও মো. জাকির মিয়া (৪৮)। তারা তিনজন ওই তিন ট্রলারের মাঝি।

রবিবার (২১ নভেমম্বর) সকাল ১০টার দিকে শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দস্যুদের কবল থেকে ফিরে আসা জেলেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

- বিজ্ঞাপন -

শরণখোলায় ফিরে আসা ‘এফবি আট ভাই’ ফিশ ট্রলারের সহকারী মাঝি মহিদুল ইসলাম জানান, রাত ৯টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের গাঙ্গের আইন নামক স্থানে বিভিন্ন এলাকার ১০-১২টি ট্রলারের বহরে জেলেরা মাছ ধরছিলেন। তাদের একেক ট্রলারে ১২জন করে জেলে ছিলেন। এ সময় ২০-২৫জনের একটি সশস্ত্র দস্যুদল নামবিহীন একটি ট্রলারে এসে একের পর এক জেলে ট্রলারে হামলা চালায়। তারা জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আহরিত ইলিশ, ডিজেল, মোবাইল ফোন, টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তাদের দুই ট্রলার থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালালাল নিয়ে গেছে। ​যাওয়ার সময় দস্যুরা দুই মাঝিকে তুলে নিয়ে যায়। একেক জনের মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা করে দাবি করেছে দস্যুরা।

পাথরঘাটা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমিতির সভাপতি মো. দুলাল মিয়া জানান, তার এলাকার ফিরোজ মাতুব্বরের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাকির মিয়াকে ৩ লাখ টাকা মুক্তিণের দাবিতে অপহরণ করেছে দস্যুরা।

শরণখোলা উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, এমনিতে সাগরে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন করে দস্যুদের উৎপাত শুরু হওয়ায় জেলে-মহাজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এসব দস্যুদের বাহিনীর নাম জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আত্মসমর্পণ করা পুরনো দস্যু বাহিনীর সদস্যরা আবারো নতুন করে নেমেছে।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলা সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ অবস্থান করছে। এছাড়া, সুন্দরবনের দুবলা ও কচিখালী ক্যাম্পের কোস্টগার্ড সদস্যরা টহলে রয়েছেন। দস্যুদের অবস্তান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর চার বছর ধরে শান্তি বিরাজ করে দস্যুমুক্ত সুন্দরবনে। কিন্তু এরই মধ্যে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দস্যুরা। গত এক সপ্তাহে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে আবার তিন দফা দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। দস্যুদের গুলিতে এক জেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৩ জেলে

- বিজ্ঞাপন -

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!