রাজধানীর গুলশানে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছালো। রবিবার (২১ নভেম্বর) এটি দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন প্রতিবেদন জমা দেননি। তাই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিনটি আজ ধার্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত।
গুলশান-২ নম্বর এভিনিউর ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর প্লটের বি/৩ ফ্ল্যাটে একা থাকতেন মুনিয়া। চলতি বছরের মার্চে এক লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় তিনি ওই বাসায় ওঠেন। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাট থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গত ৬ সেপ্টেম্বর মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ আট জনের বিরুদ্ধে মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। এরপর এটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে গুলশান থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মুনিয়া মিরপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা মৃত শফিকুর রহমান। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজির দীঘি এলাকায়।