বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বস্তিতে নিম্নআয়ের মানুষদের টিকার আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে সরকার। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে রাজধানীর করাইল বস্তিতে এই কার্যক্রম শুরু হয়। একদিনে তিন লাখের বেশি বস্তিবাসীকে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
টিকা পেতে আগে থেকে নিবন্ধন করতে হচ্ছে না বস্তিবাসীকে। নির্ধারিত লাইনে দাঁড়ালেই তাৎক্ষণিকভাবে নিবন্ধন করে দেওয়া হচ্ছে টিকা। মঙ্গলবার সকাল থেকে করাইল বস্তিতে দীর্ঘ লাইন ধরে নারী-পুরুষকে টিকা নিতে দেখা গেছে। টিকাদান উপলক্ষে এই বস্তিতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
করাইল বস্তিতে ২৫টি বুথে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বুথে ৬০০ জন করে টিকা পাবেন। শুক্র ও শনিবারও চলবে এই টিকাদান কার্যক্রম।
এর আগে সোমবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বস্তি এলাকায় মঙ্গলবার থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই টিকার আওতায় আসবে। মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। রাজধানীর করাইল বস্তিতে তিন লাখের মতো মানুষ রয়েছেন। তাদের টিকা দেওয়া হবে কাল (মঙ্গলবার)। পর্যায়ক্রমে অন্য সব বস্তিতেও দেওয়া হবে।’
টিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ কমার অন্যতম কারণ হলো টিকা। আমরা ইতিমধ্যেই প্রথম ডোজের টিকা দিয়েছি পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি তিন কোটির বেশি মানুষকে। দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৫ লাখ মানুষ টিকা পাচ্ছেন। নভেম্বর মাসে তিন কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৭০ ভাগ ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের কাছে ফাইজার, মডার্না, সিনোফার্মসহ দুই কোটি ৭৫ লক্ষাধিক টিকা মজুদ রয়েছে। দেশে টিকা উৎপাদন কার্যক্রমও আমরা শুরু করেছি। গোপালগঞ্জে টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়া চলছে। সবমিলিয়ে অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি।