২০১৫ এবং ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে হারার পর এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচও খেলে ফেললো নিউজিল্যান্ড দল। কিন্তু অধরাই থাকলো কাঙ্ক্ষিত শিরোপা। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের ফাইনাল ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শের ফিফটির সুবাদে কিউইদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট হাতে ইনিংসের প্রথম তিন ওভারে ইতিবাচক ব্যাট করলেও চতুর্থ ওভারে হ্যাজলউডের বলে কটবিহাইন্ড হন ড্যারি মিচেল। আউট হওয়ার আগে করেন ১১ রান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইতবাচক ব্যাটিং করতে থাকেন মার্টিন গাপটিল এবং কেইন উইলিয়ামসন। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৪৮ রানের জুটি। অ্যাডাম জাম্পার বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ রান করেন গাপটিল।
এদিকে ব্যাট হাতে আপনতালে খেলতে থাকা দলীয় অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলীয় স্কোর বাড়ানোর পাশাপাশি নিজের স্ট্রাইকটাও বাড়িয়ে নেন তিনি। জস হ্যাজলউডের করা ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে স্টিভেন স্মিথের হাতে ক্যাচ তুলে দেন কিউই দলনেতা। আউট হওয়ার আগে করেন ৮৫ রান। মাত্র ৪৮ বলে খেলা এই শৈল্পিক ইনিংসটি ১০টি চার এবং ৩টি চারে সাজানো।
এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে যান জিমি নিশাম এবং টিম সেইফার্ট। ১৩ রানে নিশাম এবং ৮ রানে সেইফার্ট অপরাজিত থাকেন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭২ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ১৫ এবং ব্যক্তিগত মাত্র ৭ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে সাজঘরে ফেরেন অ্যারন ফিঞ্চ। তবে পরক্ষণেই ঘুরে দাঁড়ায় অজিরা। এ সময় ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ মিলে ৯২ রানের জুটি গড়লে সহজ জয়ের দিকেই এগোতে থাকে অস্ট্রেলিয়া।
১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগত ইনিংসের ইতি টানেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ট্রেন্ট বোল্টের করা বলে বোল্ড হওয়ার আগে মাত্র ৩৮ বলে করেন ৫৩ রান। তার এই ইনিংসটি ৪টি চার এবং ৩টি ছয়ে সাজানো।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে অপ্রতিরোধ্য ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেন মিচেল মার্শ। অর্ধশতক পূর্ণ করার পর মাত্র ৫০ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এদিকে ২৮ রান করে মাঠ ছাড়েন ম্যাক্সওয়েল।