কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ৩২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে সাতটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে মামলাগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সংস্থাটির জনসংযোগ দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনুমোদনকৃত মামলার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বোর্ডের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করেন আসামিরা।
তারা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ৩২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ সালের ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পৃথক সাতটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক। অনুমোদিত চার্জশিটে আরও রয়েছেন, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তবে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা বেড়েছে।
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতায় এ পর্যন্ত ৮৩ ব্যক্তির প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদ আদালতের মাধ্যমে ফ্রিজ করেছে দুদক।