বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া আগের লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে পড়লেও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে আরও দু’টি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আজ রবিবার (১৪ নভেম্বর) বিকাল পর্যন্ত এমন আবহাওয়া বিরাজ থাকতে পারে। তবে লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হলে পরিস্থিতি পালটে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে, আজ বিকালের মধ্যে তা কমে যাবে।
তিনি আরও জানান, এখনও সাগরে লঘুচাপই আছে। আর এটি নিম্নচাপে রূপ নিলেও তা আগামীকাল সোমবার নাগাদ হতে পারে, তবে সেটি ভারতের ওপর দিয়েই যাওয়ার শঙ্কা বেশি।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থারত লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপটি হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে আগত লঘুচাপটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং এর আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানান, এই লঘুচাপগুলোর একটিও যদি শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয় তাহলে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা আছে জাওয়াদ। এটি সৌদি আরবের দেওয়া নাম।
আগামী ১৫ থেকে ১৬ নভেম্বরের ভেতর বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যা ১৮ থেকে ১৯ নভেম্বর ভারতের উপকূলে আঘাত হানতে পারে, যার কিছুটা বাংলাদেশের সুন্দরবনসহ এর আশেপাশের এলাকার উপর দিয়েও যেতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের সূত্রে তাদের গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে।