নাটোরের লালপুরে তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ৬ জন বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় মদদদাতা হিসেবে আরো ৩ জনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের বিশেষ বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ওই আদেশ দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশের চিঠি স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
দলীয় বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, ১নং লালপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আনারস মার্কা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তায়েজ উদ্দীন, ৪ নং আড়বাব ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ ও সাবেক চেয়ারম্যান আনারস মার্কা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা,
মোটরসাইকেল মার্কা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ঝন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও টেবিলফ্যান মার্কা প্রতিকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, ৫ নং বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সহ সভাপতি মোটরসাইকেল মার্কা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসলাম উদ্দীন,
উপজেলা আ’লীগ সদস্য ও ঘোড়া মার্কা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান জার্জিস।এছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দাতা হিসেবে দলীয় ভাবে বহিষ্কৃতরা হলেন, লালপুর উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ইস্কান্দার মির্জা, সহ -প্রচার সম্পাদক মীর আব্দুল মান্নান, সদস্য মাজেদুল ইসলাম।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী বলেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিল্পব বড়ুয়ার নির্দেশনা মতে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় মনোনায়ন বোর্ড ১০ জনকে চূড়ান্ত করে।
কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে অবমূল্যায়ন করে ও দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমরা প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য বর্ধিত সভা করেছি, প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা ও অনুরোধ করেছি।
কিন্তু তা-সত্বেও প্রত্যাহার না করায় বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিচ্ছেন তাদের কেউ বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সাথে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ই নভেম্বর তৃতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।