তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও বিনা ভোটের চেয়ারম্যান পেতে যাচ্ছে ১০০ ইউপি। গতকাল নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় এ তথ্য জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে অনেক প্রার্থী সরে দাঁড়ানোতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সংখ্যা বাড়ে। জানা যায়, চেয়ারম্যান পদের এই ১০০ জন একক প্রার্থী সবাই ক্ষমতাসীন দলের।
এর আগে প্রথম ধাপে ৭২ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৮১ জন একক প্রার্থী হিসেবে ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান হয়েছেন। সব মিলিয়ে এবারের ইউপি নির্বাচনের প্রথম তিন ধাপেই চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ২৫৩ জনের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে এখনো কমপক্ষে তিনটি ধাপ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে এর আগে ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন ২১৭ জন। ২০১১ সালের এসংক্রান্ত কোনো তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে ৩৭ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে চারটি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘটনা ঘটে। ১৯৮৮ সালে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ১০০ জন।
এবার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১০০ জন চেয়ারম্যান ছাড়াও নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ১৩২ জন, সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩৩৭ জন একক প্রার্থী। এঁরাও ভোট ছাড়াই জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন। দ্বিতীয় ধাপেও ৮১ জন চেয়ারম্যান ছাড়াও সদস্য পদে নারীদের জন্য
সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৩ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ২০৩ জন ভোট ছাড়াই সবাই বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
এবারের তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রামের রাউজানের ১৪টি ইউপিতে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য সব কটি পদে একক প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ১৪টি ইউনিয়নে সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদ রয়েছে ১২৬টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য পদ ৪২টি। এসব পদের সব কটিতে একজন করে জমা দেন। এ ছাড়া রাঙ্গুনিয়ায় ছয়টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই মনোনয়নপত্র জমা দেন।