কুড়িগ্রামর নাগেশ্বরীতে ঢাকাগামী একটি নৈশ কোচের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা যাত্রীর মধ্যে একই পরিবারর তিনজনসহ চারজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে ভূরুঙ্গামারী-কুড়িগ্রাম সড়কের রায়গঞ্জ আলেপের তেপথি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম সাপখাওয়া এলাকার মৃত সমুদ্দি শেখের ছেলে অটোচালক জলিল সরকার, পশ্চিম রায়গঞ্জ এলাকার শহিদুল ইসলাম, তার শিশু কন্যা সুমাইয়া ও শহিদুল ইসলামের মা সুফিয়া বেগম। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন শহিদুল ইসলামের স্ত্রী শাহানাজ বেগম।
এসময় স্থানীয়রা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে। পরে নাগেশ্বরী থানার ওসি নবীউল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী মহাসড়কে টু-লেনের উন্নতিকরণের কাজ চলছে। সেখানে সড়কের দুপাশে মাটি উঁচু করে রেখেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এ কারণে ভূরুঙ্গামারী থেকে আসা রিজভী পরিবহন নামে নৈশ কোচ ও নাগশ্বরী দিকে থেকে যাওয়া অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু সুমাইয়া এবং সুফিয়া বেগম নামে এক নারীর মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে যাবার পথে শহিদুল ইসলাম এবং অটোচালক জলিল সরকারের মৃত্যু হয়।
নাগশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীউল হাসান চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। বলেন, চালকসহ বাসটিকে আটক করা হয়েছে।