দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠলো অস্ট্রেলিয়া। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে অ্যারন ফিঞ্চ বাহিনী। এর আগে প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছিল কিউইরা।
পাকিস্তানের দেয়া ১৭৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদির করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার এবং অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। আউট হওয়ার আগে কোনো রানই তুলতে পারেননি তিনি।
শুরুতেই উইকেট পড়লেও দলকে চাপে পড়তে দেননি আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। দ্বিতীয় উইকেটে মিচেল মার্শকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন তিনি। ব্যক্তিগত ২৮ রানে ফেরেন মার্শ। এরপর ৫ রানে ফেরেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ।
এরপরও আপনতালে ব্যাট করতে থাকেন ওয়ার্নার। কিন্তু সাদাব খানের করা বলে কটবিহাইন্ড হন ওয়ার্নার। ৩০ বলে ৪৯ রান করেন ওয়ার্নার। এরপর ব্যক্তিগত ৭ রানে ফেরেন ম্যাক্সওয়েলও। প্রথম পাঁচ উইকেটের মধ্যে চারটিই নেন পাকিস্তানি স্পিনার সাদাব খান।
মাত্র ৯৬ রানে ৫ উইকেটে নিশ্চিত হারের মুখে থাকা অস্ট্রেলিয়া দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মার্কাস স্টোনিস এবং ম্যাথু ওয়াইড। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেন অপ্রতিরোধ্য ৯৬ রানের জুটি। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন অজি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়াইড। মাত্র ১৭ বলে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। আর ৪০ রানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন মার্কাস স্টোনিস।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাট করে যাচ্ছে পাকিস্তান দল। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের পথেই এগোচ্ছে পাকিস্তান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১ উইকেটে ৯৫ রান সংগ্রহ করেছে দলটি।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট হাতে দুই পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে ৭১ রান। দশম ওভারের খেলায় অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বাবর। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে করেন ৩৯ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামেন ফখর জামান। তাকে নিয়ে ৭২ রানের জুটি গড়েন ওপেনার রিজওয়ান। এরই মধ্যে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। আর আউট হওয়ার আগে করেন ৬৭ রান। ৫২ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ৩টি চার এবং ৪টি ছয়ে সাজানো।
তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে কোনো রান করতে পারেননি পাকিস্তান দলের হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান আসিফ আলি। প্যাট কামিন্সের করা বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এদিকে শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন ফখর জামান। মিচেল স্টার্কের কলা শেষ ওভারের চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে টানা দুই ছয় মেরে নিজের ফিফটিও করেন জামান। অপরাজিত থাকেন ৫৬ রান। মাত্র ৩২ বলে খেলা ইনিংসটি ৩টি চার এবং ৪টি ছয়ে সাজানো। আর ১ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ হাফিজ।