আকাশ
ধূসর আকাশ বলে তুমি আমার কান্না না
সবুজ ধান ক্ষেত বলে তুমি আমার আপন না
জানিনা জানিনা জানিনা
কে আমার অতি আপন
পাখি নদী না সাগর নিরবধি।
গরম জিলাপির মতো রসে ভরা অমৃত প্রেম
দেশি মুরগির মত পালিয়ে বেড়ায় মোরগের
যখন-তখন যন্ত্রণায়।
ভালো কি লাগে নিয়ম ভাঙা ঢেউ!
হরিণীর পলক নিছক ভয়ে দুচোখ
মাছরাঙ্গা পাখি
মাছকে ধরবে বলে
আমি যেমন চেয়ে থাকি অকাতরে
দুঃখ আমার চাপিলা মাছের রুপালি ঝিলিক।
শতশত লাল গোলাপের পাপড়ি
নরম মসৃণ তুলতুলে
কাঁটা গুলি অনেক কষ্টের বিষাক্ত যন্ত্রনার।
তাই বলে কি দেখব না দু চোখ খুলে
আকাশ তুমি কি সত্যি গেছো ভুলে?
নাটাই ছাড়া ঘুড়ি নীল আকাশে উড়ে
আমি এখন অনেক দূরে বহুদূরে—
মিয়া সাব
এই ছিলাম
ঐ ছিলাম
এই দিছি
ঐ দিছি
বাপ দাদার নামে
বংশপরিচয় জমে
তাল গাছে
মানুষ উঠায়ে
বন্দুকের গুলি ছোড়ে
নিশানা করেছে ঠিক।
জান গেল প্রাণ গেল
অভাগা খামারির।
দাদা মিয়ার নিশানা সঠিক!
মুক্তি নাই শালা বেটি ক্রীতদাসীর
ভাজে ভাজে যৌবন উতলিয়ে পড়ে
হলুদ রঙা রোদে
বেটির রং কালা তাতে কি?
মিয়া সাহব বিয়া করবো না
আয়ুর্বেদিক ওষুধে হইব
বেধড়ক যৌনক্রিয়া।
মঙ্গলা বেটা কান্দে বইয়া
লিচু গাছ তলা।
“কাইল্লা রং এর বউটা আমার
কেন্ চোখ পরল মিয়ার?”
সামনে ইলেকশন
মিয়া দিব নোট কয়েকখান।
কইব এই দিছি সেই দিছি
আরো দিবো নে-
ভোট দিবি ভোট
নয়তো গ্রাম থাইকা ফোট।
এই করছিলাম সেই করছিলাম
আরো করবাম
আরো করবাম।
মা স্বর্গ
আমার মায়ের গর্ভে ছিলাম
নৈসর্গিক আনন্দে
যা চেয়েছি তা পেয়েছি
আমার পছন্দের।
তারপর হঠাৎ রূপকথার রাজ্যে-
ধুলোবালি জল, পশুপাখি
গাছপালা উদ্ভিদ ও জঙ্গল।
আগে ছিল না খুদা তৃষ্ণা
রোদ ঝড় বৃষ্টি।
মায়ের আঁচলে ঢাকা
শাসন বকুনিতে মান অভিমানে
একে বেঁকে ওঠা শরীর
অন্য নারীর দিকে দৃষ্টি।
মাকে ছাড়া মুহূর্ত
জীবন এক যুদ্ধ।
আমার মা স্বর্গ।
ঢাকা
ঢাকা মানে চাকা
ঢাকা মানে ফাঁকা
ঢাকার বাইরে উদাম আঁকা
দেয়ালে দেয়ালে মারতো চিকা।
ঘোড়ার গাড়ি রাজধানী
মোরগ পোলাও বোরহানি
নকশা করা পানদানি
নবাব রাজার আমদানি
সোনারগাঁয়ে জামদানি।
ছদাগরের খানদানি।
শ্বাসকষ্টে শহর
লাশের বহর।
ঢাকা মানে চাকা
ঢাকা মানে ফাঁকা
কষ্ট বেগমের মন রক্ষা
চাই হাজার কোটি টাকা
ঢাকা চাকা
ঢাকা ফাঁকা।
অতৃপ্ত নাগিনী
গুলাব আইলা সিডর নার্গিস
তোমরা এত খারাপ কেন
তোমরা এলে উপকূল
উলটপালট ছত্রভঙ্গ
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন জীবন
তোমরা জীবনকে
এত ঘৃণা করো
কেন কেন কেন?
জানো না কদিন আগে
পূর্ণিমার চাঁদনী রাতে
ডিম ভর্তি মা ইলিশ
ছুটে চলেছিল নদীর মোহনায়
মোহনা থেকে আরো উত্তরে
তুমি কি জানো না তখন
নীল রাঙ্গা রুপালি মাথার
আইস মাছ ছুটে আসছিল
এক শত কিলোমিটার বেগে
ইলিশ যে তাদের প্রিয়।
বাংলাদেশের মানুষের চাইতেও
খুব প্রিয় ইলিশ
কলকাতা ত্রিপুরা আসামে
সব ইলিশ সাগর থেকে আসে
নদীর মোহনায়
কি জানি
তখন ভালোবাসে কাকে
পদ্মা না যমুনাকে।
অন্ধপ্রদেশ তামিলনাড়ু বাংলাদেশ
কেন তছনছ হয়
কেন ভেসে যায় জমির ফসল,
পুকুরের মাছ, মা অথবা সন্তান,
স্বামী অথবা স্ত্রী,
গরু, মহিষ, ছাগল, সাগরিকা কইতর
মায়া টানা চোখের হরিণ চিত্রা
রয়েল বেঙ্গল টাইগার
সারি সারি সুন্দরী গাছ
ইস্ কী ভয়ঙ্কর সিডর!
মায়ার চর, জাহাজ মারার চর, তুফিইন্নার চর
রাঙ্গাবালী মৌডুবী কেঁপে উঠে থর থর
কুয়াকাটা কক্সবাজার ভেঙে চুরমার
ভুতুড়ে রিলিফের মানুষ আসে
ভালোবাসার হাত নেড়ে নেড়ে।
গোলাব তোমরা খুব খারাপ
অতৃপ্ত ভয়ঙ্কর —
নাগিনী সাপের ফণার মতোন।
থাকে না খাওয়ার জল
গুলাব প্লিজ
আর ঝড়াবেনা
চোখের নোনা জল
মহাসমুদ্রে কল কল।
অমৃত অন্ধকার
অন্ধকারের রুপসী তুমি
দুচোখ দৃষ্টিহীন
আমার সবকিছু অন্ধকার।
শুধু তুমি শুধু তুমি
রূপসী অন্ধকার
শরীরের চিকন
পড়তে পড়তে তুমি।
দৃষ্টিহীন আলোর ছটা
মধ্যরাত জানিনা বাজে কটা
সবকিছু রাত, অন্ধকার
শুধু তুমি স্বপ্নপুরীর
আলোর রানী আমার
অনুভূতির আঁকা চাঁদ।
যুগল বাহু জাগ্রত কাম রস
পিচ্ছিল পথ
জেগে ওঠা নিঃশব্দের
শীৎকার চিৎকার
অমৃত সুধাভরা অন্ধকার।
সময়ের গণিত ভোর
ফেনিল ঢেউ ফিরে যাওয়া সাগরের বুক
ঝগড়া গানে ভরপুর সুখ
বেলাভূমি সৈকত হাস্যরসে মগ্ন
সাগর কবুতরের শব্দ।
চলো ফিরে যাই আবার অন্ধকারে
যেখানে অজানা সুখ পথে প্রান্তরে।