নাটোরের সিংড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ২টায় কলেজের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ডাহিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক নাইম হোসেন ও গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগের অপর পক্ষ।
আহত দুই ছাত্রলীগ নেতা গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল এর অনুসারী। তারা অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। পরে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রওনক হাসান হারুনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তপ্ত ছড়িয়ে পড়ে। পরে পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, সিংড়া থানার ওসি নূর-এ-আলম সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুধবার দুপুরে পৌর ছাত্রলীগের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাফসান এর নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে কলেজ এর সামনে ছাত্রলীগ নেতা নাইম হোসেন ও শফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালানো হয়।
ছাত্রলীগ নেতা নাইমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম এবং আরেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুলকে পিটিয়ে আহত করে রেখে যায় হামলাকারীরা।হামলাকারীরা ছাত্রলীগ নেতা রওনক হাসান হারুনের অনুসারী। আহতদের মধ্যে নাইম হোসেনকে নাটোর সদর হাসপাতাল ও শফিকুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল বলেন, ছাত্রলীগ নেতা হারুনের নেতৃত্বে কলেজের নিরীহ ছাত্রদের উপর হামলা দুঃখজনক। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রওনক হাসান হারুন বলেন, আমি এ হামলার সাথে জড়িত না, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তাছাড়া ভিপি জুয়েলের অনুসারীরা আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আমার দোকানে হামলা করেছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।