বাংলাদেশে প্রতি মাসে চার কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পোল্যান্ডের দেওয়া ৩২ লাখ টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এমন তথ্য দেন তিনি।
লোকমান হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ২১ কোটি টিকা নিজস্ব টাকায় কিনেছি। সব টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আমাদের ২৮ কোটি টিকা দরকার, পেয়ে যাব। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিয়ত টিকা আসতে থাকবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব আরও বলেন, প্রতি মাসে চার কোটি মানুষকে করোনার প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হবে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া ব্যবস্থা আছে।
বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে ৩২ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিচ্ছে পোল্যান্ড। বুধবার টিকার প্রথম চালান আসে। টিকা হস্তান্তর করেন দিল্লিতে নিযুক্ত পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যাডাম বুরাকোস্কি।
সর্বমোট ৩২ লাখ ৭২ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা দিচ্ছে পোল্যান্ড। ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন খরচও দিচ্ছে দেশটি। টিকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় মোট তিন চালানে ঢাকায় পৌঁছাবে ভ্যাকসিন।
প্রথম চালানে ঢাকায় এসেছে ১০ লাখ ২৭ হাজার ২৯০ ডোজ টিকা। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় চালানে আসবে ৯ লাখ ২০ হাজার ৭৯০ ডোজ এবং রবিবার (১৪ নভেম্বর) আসবে ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হয়েছে। মাঝে টিকার সংকটের কারণে কিছুটা ব্যাহত হলেও গত কয়েক মাস ধরে টিকাদানে গতি এসেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়মিত টিকা আসতে থাকায় আর টিকার সংকট হবে না বলে জানিয়েছে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) এক দিনে ২৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭২২ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৪ লাখ ছয় হাজার ৫৭৭ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে তিন লাখ ৪১ হাজার ১৪৫ জনকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে চার কোটি ৯১ লাখ ১৪ হাজার ৪৬২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন তিন কোটি ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫১৫ জন। সবমিলিয়ে দেশে আট কোটি ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৭ ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে।