নরসিংদীতে পুলিশের কাছ থেকে পালানোর সময় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
তবে স্বজনদের অভিযোগ হাতকড়াসহ তাকে বাবুল সাহা চানাচুর ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ও পুলিশ মারধর করে মৃত্যু অবস্থায় হাঁড়িদোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছে। পরে নদী থেকে জাল দিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ওই যুবকের নাম সুজন সাহা (২৭) । তিনি হাজিপুর এলাকার অজিত সাহার ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, নরসিংদীর হাজিপুর এলাকার সুজন সাহার বিরুদ্ধে ১০টির অধিক মামলা ছিল। এর মধ্য তিনটিতে সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ছিল। তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ হাজিপুর এলাকার একটি চানাচুর ফ্যাক্টরি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে যায়।
গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ একহাতে হাতকড়া লাগানোর পরেই সে পকেট থেকে ছুরি বের পুলিশকে আঘাত করে পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং নদী পার হতে গিয়ে মাঝখানে আটকে যায়। পরে পুলিশ দৌড়ে গিয়ে নদী থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, হাজিপুরের হাড়িধোয়া নদী থেকে সুজন সাহা নামে ওই আসামিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নদী পার হওয়ার সময় সে কোনোকিছুতে আটকে গিয়ে আর পার হতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তার ছুরির আঘাতে আমাদের একজন এসআই এবং একজন কনস্টেবল আহত হয়েছে।