জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ এবং ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সকাল থেকেও গণপরিবহন চলছে না। তবে আজ বেলা ১১টায় বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে সরকারের একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে সেই বৈঠকে এ ব্যাপারে একটি সমাধান আসবে। এতে অবসান হতে পারে তিন দিনের অচলাবস্থার।
গত শুক্রবার থেকে দেশের সবধরনের বেসরকারি উদ্যোগের সড়ক পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার দুপুরের পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় লঞ্চ চলাচলও। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ একযোগে এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
আজকের বৈঠক সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল শনিবার বলেন, ‘আগামীকাল (রবিবার) বিআরটিএর ভাড়া পুনর্নিধারণ কমিটির বৈঠকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে ব্যাপারে ইতিবাচক উদ্যোগ ও প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘মূল্য সমন্বয়ের এই অজুহাতে কেউ যেন অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
গত বুধবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। ৬৫ টাকার জ্বালানি তেল এখন ৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সরকার বলছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় সরকার বাধ্য হয়ে তা বাড়িয়েছে। এছাড়া ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেশি। এতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে দেশের বাজারেও সমন্বয় করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সরকার।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এবং ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষ এই ধর্মঘটে সায় দিয়েছে। এছাড়া ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে শনিবার দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রেখেছে মালিকপক্ষ। এতে সারাদেশে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীসাধারণ।