দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে ওয়ার্কার্স পার্টির দেশব্যাপী কর্মসূচির আলোকে বাগেরহাটের রামপালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৪ টায় উপজেলার বাবুরবাড়ির তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জিরোপয়েন্ট মোড়ে বাংলাদেশর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার। বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ এর সভাপতিত্বে ও রামপাল ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য নীমাই চন্দ্র শীল এর সঞ্চালনায় অন্যান্যর মধ্যে আরো বক্তব্য দেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রবিন্দ্রনাথ দেবনাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সদস্য নূর মোহাম্মদ মোড়ল, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সদস্য সনজিত মন্ডল সোনা, জেলা সদস্য ও রামপাল উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অশেষ রায় পল্টু, জেলা সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোংলা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর বিশ্বাস, ওয়ার্কার্স পার্টির রামপাল উপজেলা সদস্য ও জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি জগবন্ধু ঘরামী,পার্থপ্রতিম ঠাকুর, ডালিম শেখ, আব্দুল রহিম শেখ, নীলকমল রায়, বাবুল শেখ, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ নেত্রী কাকলী রায়, সাংবাদিক সুজন মজুমদার, মনোজিৎ মুখার্জ্জী, স্টালিন হালদার, বুলু বিশ্বাস প্রমূখ।
মানববন্ধনে জাতীয় কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ যুব মৈত্র ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’র যৌথ আয়োজনে বিভিন্ন নেতাকর্মী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শান্তির বাংলাদেশকে মৌলবাদী ও একটি কুচক্রী মহল অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এ জন্য বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আগের ঘটনাগুলোয় অপরাধী ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারনে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে। এদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ পাশ ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন ও জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ৬০টি সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ করাসহ একজন উপ-রাষ্ট্রপতি ও একজন উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করা, দখল হওয়া দেবোত্তর সম্পত্তি নিজ নিজ মঠ ও মন্দির হস্তান্তরসহ উদ্ধার হওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিমা জাদুঘরের পরিবর্তে মঠ-মন্দিরের কাছে ফেরত দিতে হবে।
কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোরয়ান অবমাননার নামে ৭১ এর পরাজিত শত্রুরা ধর্ম নিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের পায়তারা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান অবমাননাসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে কুমিল্লা, চাঁদপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রংপুর, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শারদীয় দূর্গাপুজায় মন্দিরে পূর্ব পরিকল্পিত হামলা, পূজা বন্ধ, অগ্নিসংযোগ, প্রতিমা ভাঙচুর, সেবাইত ও ভক্তদের নৃশংস হত্যাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ও দোকানে লুট ও জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।