মিয়ানমারের বেসামরিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে কমপক্ষে একশ’ সেনা নিহত হয়েছেন। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিনের সংঘাতে সেনা ছাড়াও কয়েকজন প্রতিরোধ যোদ্ধাও প্রাণ হারান। শুক্রবার মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি স্থানীয় কয়েকটি প্রতিরোধগোষ্ঠীর বরাতে হতাহতের খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, গেল বৃহস্পতিবার পেকন শহরের পশ্চিমে পিডিএফ, শান রাজ্যের পেকন, মোবির কারেনি যোদ্ধা, কায়াহ রাজ্যের লোইকাও এবং ডেমোসো থেকে যাওয়া কারেনি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টির সশস্ত্র শাখা কারেনি আর্মির সম্মিলিত শক্তির সঙ্গে সেনাবাহিনীল তুমুল লড়াই হয়। জান্তাবিরোধী বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার লড়াইয়ে কমপক্ষে ২০ সেনা ও এক বেসামরিক প্রতিরোধ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
এদিকে পেকন পিডিএফ বিবৃতিতে জানিয়েছে, শাসক গোষ্ঠীর বাহিনী পেকনের একটি গ্রামের কাছে ভারী কামান নিয়ে ব্যাপক হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায়। সোমবার জান্তা বাহিনী কামান হামলা চালালে প্রাণ ভয়ে পেকনের ১৫ হাজার বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।
এদিকে চিন রাজ্যের একটি সামরিক বহরে মোটরসাইকেলে করে বেসামরিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৫ সেনাকে হত্যা করেন। হামলায় কয়েকজন আহতও হয়েছেন। অন্যদিকে বুধবার মিন্দাত-মাটুপি হাইওয়েতে ৭৫টি গাড়ির সামরিক কনভয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালায় সিডিএফ। এতে ১০ সেনা নিহত এবং অনেকে আহত হন।
একইদিন সাগাইং অঞ্চলের কালে শহরে শাসক বাহিনীর ওপর আক্রমণ করলে ৪৭ সেনা মারা যান বলে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, সাগাইং ও তানিনথারি অঞ্চল ছাড়াও চিন, শান এবং কায়াহ রাজ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন জান্তাবিরোধী অভিযানের বিস্তৃতি বাড়িয়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা।