ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়ে লিটার প্রতি ৮০ টাকা করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে ফের ডিজেল-কেরোসিনের মূল্য সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করছে। কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় রেখে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ করতে বদ্ধপরিকর।
এতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশে সর্বাধিক ব্যবহৃত জ্বালানি তেল ডিজেলের ক্ষেত্রে বিপিসি লোকসানের মুখোমুখি হয়। জুনে ডিজেলে লিটার প্রতি ২.৯৭ টাকা, জুলাইয়ে ৩.৭০ টাকা, আগস্টে ১.৫৮ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৫.৬২ টাকা ও অক্টোবরে ১৩.০১ টাকা বিপিসির লোকসান হয়েছে। সে হিসাবে গত সাড়ে ৫ মাসে ডিজেলে বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা সরকারকে ভর্তুকির মাধ্যমে সমন্বয় করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৬৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল। পূর্ববর্তী সময়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ৩ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে। বিগত সাড়ে ৫ বছর ধরে ডিজেল এবং তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল। এরই মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ১০ হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।