মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম আর মুছে ফেলা সম্ভব হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস বিকৃতির কোনো সুযোগ নেই। এখন সেই চেষ্টা করে আর কেউ সফল হতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডনে হোটেল ক্ল্যারিজে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথি নিয়ে প্রকাশিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং ‘মুজিব অ্যান্ড ইন্ট্রোডাকশন’ বই দুইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইটির আন্তর্জাতিক প্রকাশক ‘টেইলন অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ’এবং ‘মুজিব অ্যান্ড ইন্ট্রোডাকশন’বইটির প্রকাশক নোমাদ পাবলিকেশন।‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইটি প্রথম প্রকাশ করে বাংলাদেশি প্রকাশক হাক্কানি পাবলিসার্স।
সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’বই প্রকাশে ব্রিটিশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান টেইলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপের আগ্রহের কারণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আমাকে বলেছেন এটার ভেতরে এমন কিছু তারা পেয়েছেন যেটা শুধু বাংলাদেশের জন্য না সারাবিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এখনও গোয়েন্দা সংস্থায় প্রশিক্ষণের জন্যও এটা কাজে লাগতে পারে। ’
বইটি প্রকাশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরার পাশপাশি কেন বইটি প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারও ব্যাখ্যা দেন শেখ হাসিনা। ‘আমার বাবার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ ব্যান্ড, তার ফটো ব্যান্ড, উনার বক্তৃতা ব্যান্ড। এমনকি যে স্লোগান দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা, সেটাও ব্যান্ড বাংলাদেশে। ৭৫ এর পর এটাই ছিল বাংলাদেশের অবস্থা। তারা সবকিছু ব্যান্ড করেছিল।
‘যখন এই বইটা বের হলো, এরপর থেকে কিন্তু লোক অনেক কিছু জানতে পারল। এই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা অন্তত বলতে পারি, এটা বের হওয়ার পর থেকে আর কেউ ইতিহাস বিকৃত করতে পারেনি, করতে পারবে না।’
সরকারপ্রধান বলেন, মানুষ বইটি পড়বে, এটি নিয়ে গবেষনা করবে এবং অনেক কিছু শিখবে, তথ্য সংগ্রহ করবে এবং তারা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানবে, শুধু বাঙালি জাতি নয় সারাবিশ্বের মানুষ। এটা সত্যিই অসাধারণ।
আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা অন্তত বলতে পারি এটা বের হওয়ার পর থেকে আর ইতিহাস বিকৃত কেউ করতে পারেনি, করতে পারবে না।