রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ

সুজন মজুমদার
সুজন মজুমদার - বাগেরহাট প্রতিনিধি
3 মিনিটে পড়ুন
সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান।

বাগেরহাট রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন এর বিরুদ্ধে এক ইউপি সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ‘সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন রকম প্রশ্নবিদ্ধ কাজও করে থাকেন তিনি। তার হাত অনেক লম্বা। আমরা নিরুপায় ও অসহায়।’

রামপাল উপজেলার হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অনিমেষ মন্ডলকে (মঙ্গল) মারপিট করার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ১০ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্য/সদস্যাবৃন্দ। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২ নভেম্বর বেলা ১২ টায় হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তালতলা বেলাই এলাকায় চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার। হটাৎ উপজেলা চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত হন। এরপর তপন চেয়ারম্যানের সামনে অনিমেষ মন্ডল কে চিটার ও বাটপাড় বলে গালি দেয় মোয়াজ্জেম। তাৎক্ষণিক ওই ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ওই ইউপি সদস্যকে এলোপাথাড়ি লাথি মারেন।

এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলার দশ চেয়ারম্যান, সদস্য/সদস্যা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন এর নিকট অভিযোগ পত্র জমা দেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবু সাইদ, পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল, ভোজপাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তরফদার মাহাফুজুল হক টুকু, বাইনতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ, হুড়কা ইউপি চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার, বাঁশতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দীন, উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী বোরহান উদ্দিন জেড, গৌরম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান রাজীব সরদার, জেলা পরিষদ সদস্য অসীত বরণ কুন্ডু, হুড়কা ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিচিত্র বীর্য পাড়ে প্রমুখ।

চেয়ারম্যানদের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে আমরা উপজেলা পরিষদের সকল প্রকার অনুষ্ঠান বয়কট করারও ঘোষণা দেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন সকল প্রকার সমাধান করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আশ্বাস দেন এবং পরিষদের কর্মকান্ড এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

- বিজ্ঞাপন -

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কথা হয়েছে কিন্তু অনিমেষ মন্ডল কে আমি মারপিট করিনি। বরং সে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে সে এই নাটকগুলো সাজিয়েছে। সেখানে অনেকই উপস্থিত ছিলেন। প্রয়োজনে আমর কথা বিশ্বাস না হলে আপনি আপনার এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি জানতে পারেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
বাগেরহাট প্রতিনিধি
সাময়িকী, বাগেরহাট প্রতিনিধি।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!