রংপুরে পুলিশি নির্যাতনে তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পুলিশের গঠন করা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও ময়না তদন্তের রিপোর্টও দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে।
বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে এ ঘটনায় রংপুর পুলিশ কমিশনারের প্রতিবেদন আদালতে পড়ে শোনান রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
ওই হত্যার ঘটনায় একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্তের ই-মেইলে রংপুর পুলিশ কমিশনারের পক্ষে প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন নেই। ওই ব্যক্তির কাছে ৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তাজুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় অভিযোগের বর্ণনা ও ওই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে মঙ্গলবার আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। আদেশে রংপুরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্তকে তা জানাতে বলা হয়েছিল। ওই ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
গত সোমবার রংপুরের হারাগাছে পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হারাগাছের নতুন বাজার বছি বানিয়ার তেপতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাজুল ইসলাম উপজেলার হারাগাছ নয়াটারী দালালহাট গ্রামের বাসিন্দা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নয়া বাজার বছি বানিয়ার তেপতি থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাজুল ইসলাম।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করেন। বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাকটেল ছুড়ে মারার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।