হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মাধ্যমে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এই মামলার বিচার শুরু হলো।
নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অভিযোগ গঠন করেন। নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ ধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন মামুনুলের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। ওই মামলায় গ্রেপ্তার মামুনুল হককে বুধবার আদালতে হাজির করা হলে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক এই মামলার বিচার শুরুর অনুমতি দেন।
সকাল ১০টার দিকে মামুনুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে নেয়া হয়। পরে আদালতের গারদখানায় রাখা হয় মামুনুল হককে। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়।
গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। সে সময় তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান। তখন আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বেপরোয়া ভাঙচুর চালান হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। হামলা ও ভাঙচুর করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই শতাধিক যানবাহন।
ওই ঘটনায় মামুনুল ছাড়া পেলেও গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল। এরপর সহিংসতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। এসব মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে মামুনুল এখন কারাগারে রয়েছেন।
অবরুদ্ধের দিন মামুনুর তার সঙ্গে থাকা নারী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ঝর্ণা।
ঝর্ণার অভিযোগ, বিয়ে করব, করছি- এমন আশ্বাস দিয়ে মামুনুল তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন তিনি।