আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বাবর-রিজওয়ানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে ৫ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান দল। এর ফলে টানা চার জয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত হয়েছে বাবর আজমদের। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৪ রান করেছে নামিবিয়া।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানই তুলতে পারছিলেন না দুই পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে দলীয় খাতায় তাদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ২৯ রান। আর ১০ ওভারে সংগ্রহ করে মাত্র ৫৯ রান।
এরপর হুট করেই যেন রান তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩ ওভারেই তুলে ১০১ রান। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন দলীয় অধিনায়ক বাবর আজম। ওপেনিং ১১৩ রান তুলার পর ব্যক্তিগত ৭০ রানে আউট হন বাবর। মাত্র ৪৯ বলে খেলা ইনিংসটি সাতটি চারে সাজানো। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে এসে সুবিধা করতে পারেননি ফখর জামান।
তবে পরের উইকেটে খেলতে নেমে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন মোহাম্মদ হাফিজ। এ সময় রিজওয়ানের সঙ্গে মাত্র ৩৪ বল খেলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন। এরই মধ্যেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন ওপেনার রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে অপরাজিত থাকেন ৭৯ রানে। ৫০ বলে খেলা এই ইনিংসটি আটটি চার এবং চারটি ছয়ে সাজানো। এদিকে মাত্র ১৬ বল খেলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন হাফিজ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে চাপেই পড়ে নামিবিয়া। হাসান আলির করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মিচেল ভ্যান লিনগেন। দ্বিতীয় উইকেট ক্রেইগ উইলিয়াম এবং স্টিফেন বার্ড। কিন্তু জয়ের ক্ষেত্রে সেই খেলাও উপযুক্ত ছিল না। ২৯ রানে ফেরেন বার্ড। পরের উইকেটে খেলতে নেমে ১৫ রান করেন অধিনায়ক জেরার্দ ইরাসমাস। আর আউট হওয়ার আগে ৪০ রান করেন ক্রেইগ উইলিয়ামস।
এছাড়া ২ রানে আউট হন জেজে স্মিট। ৪৩ রানে ডেভিড ওয়াইস এবং ৭ রানে লফটি ইয়াটন অপরাজিত থাকেন। আর ম্যাচসেরা হন মোহাম্মদ রিজওয়ান।